Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

গফরগাঁও উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য


অবস্থান :

গফরগাঁও উপজলোর ভৌগলকি অবস্থান ২৪°২৫′২″  উত্তর ৯০°৩২′৪৪″  পূর্ব  দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থতি।এ উপজেলার উত্তরে ত্রিশাল, পূর্বে নান্দাইল, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলা, দক্ষিণে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলা ও পশ্চিমে ত্রিশাল ও ভালুকা উপজেলা। সীমানার প্রায় তিন দিক নদী দ্বারা বেষ্টিত এর পূর্বে ব্রহ্মপুত্র, দক্ষিণে কালীবানার ও পশ্চিমে সুতিয়া। শুধু উত্তর দিকে স্থল।

গফরগাঁও এর উল্লেখযোগ্য নদ ব্রহ্মপুত্র। গফরগাঁও উপজেলা বহ্মপুত্র নদের মাধ্যমে দ্বিখন্ডিত হয়েছে। নদের দুই তীর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেড়ী বাধ নির্মাণ করা আছে। তাছাড়াও গফরগাঁও উপজেলার সীমানা প্রায় তিন দিক নদী দ্বারা বেষ্টিত।

১। পূর্ব দিকে ব্রহ্মপুত্র।

২। দক্ষিণ দিকে কালীবানার।

৩। পশ্চিমদিকে সুতিয়া। এবং

৪। উপজেলার ভিতরে শিলা নদী রয়েছ।


 ইতিহাস ও ঐতিহ্য:

গফরগাঁওয়ের ঐতিহাসিক পটভূমি বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন রাজ বংশের শাসনের ক্রমবিবর্তনের বৈশিষ্ট্য অলংকৃত। গফরগাঁও বঙ্গ দেশের একটি অংশ বিধায় এখানেও আর্য্যদের বসতি ছিল বলে অনুমান করা যায় । চতুর্থ শতাব্দীতে রাজা সমুদ্রগুপ্ত সিংহাসনে আরোহন করেন। তিনি সমতট (ফরিদপুর-ঢাকা-পশ্চিম ময়মনসিংহের দক্ষিণ অংশ অর্থাৎ ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিমাংশ) দখল করেন। ভাওয়ালের পাল রাজাগণ দশম শতাব্দীর প্রারম্ভ হতে একাদশ শতাব্দীর প্রথম দিক পর্যন্ত ১২১বছর এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল রাজাদের পরে ইহা হিন্দু শাসনে আসে। বৈদিক রাজত্বকালেই শাসন কার্যের সুবিধার জন্য বঙ্গদেশকে ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। ১) বরেন্দ্র, ২) বাডুগী, ৩) বঙ্গ ৪) রাঢ় ৫) মিথিলা । বঙ্গ বিভাগটি ছিল করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র মধ্যবর্তী ভূ-ভাগ ।  আমাদের আলোচ্য

গফরগাঁও এলাকা সেন রাজাদের অধীনে ছিল ।


১৩৯২ সালে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে এই এলাকা মুসলিম শাসনে আসে। প্রশাসনিক শাসনকর্তা ছিলেন জানে

 আলম খান। তাহার রাজধানী ছিল বর্তমান দিঘিরপাড় গ্রামে। সেই সময় গফর শাহ নামে একজন দরবেশ ছিলেন, তার নামানুসারে গফরগাঁও নাম করণ করা হয়। ১৮১৩ সালে সর্বপ্রথম ময়মনসিংহের জেলা কালেক্টর রবার্ট মিডফোর্ডের নির্দেশে গফরগাঁও পাইক বরকন্দাজ নিয়া একটি থানা স্থাপন করা হয়। ১৮১৫ সালে ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ার সাহেব থানায় চৌকিদারী প্রথা চালু করেন। গফরগাঁও থানায় ১৩ জন চৌকিদার ছিল। ১৯৮২ সালে গফরগাঁওকে মান উন্নীত থানা হিসাবে ঘোষনা করা হয় ও উক্ত সালের ৭ নভেম্বর উদ্ভোধন করেন রিয়াল এডমিরাল মাহবুব আলী খান। ১৯৮৩ সালে উপজেলা কার্যক্রম চালু হয়। প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন জনাব আবুল কাশেম, ও প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব এস,এম মুর্শেদ।


গফরগাঁও এর বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গঃ এ উপজেলায় অনেক প্রখ্যাত ও বরেণ্য ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করেছেন। সমসাময়িক সকল নেতৃবৃন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গফরগাঁও এর কয়েক জনের পরিচিতি তুলে ধরা হলোঃ


 হযরত মাওলানা মোঃ শামছুল হুদা পাঁচবাগী (র.)

গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নে জন্মে ছিলেন মরহুম হযরত মাওলানা মোঃ শামছুল হুদা পাঁচবাগী (র.) বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিধ ও ধর্ম প্রচারক (উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম)। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা। তিনি ১৯৩৭ সন হতে ১৯৫৪ সন পর্যন্ত তদকালিন আইন সভার সদস্য ছিলেন। গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নে মৌলভী ক্বারী রেয়াজ উদ্দিন সাহেব ১৯২১ সালে পাঁচবাগ আলিয়া মাদ্রাসা স্থাপন করেন। মাদ্রাসা সংলগ্ন তিন ওষ্ঠব বিশিষ্ট একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করেন। সূর্য লাল বিশিষ্ট পুর্ব দেয়ালে ৩টি দরজা ও পশ্চিম দেয়ালে একটি দরজা আছে। গম্ভুজের উপরিভাগে কলসি সুদৃশ্য ফিনিয়েল নির্মিত হয়েছে ও পদ্মপাপড়ি দ্বারা সাজানো হয়েছে। মরহুম হযরত মাওলানা মোঃ শামছুল হুদা পাঁচবাগী (র) নিয়মিত ভাবে নামাজ পড়তেন এ মসজিদে । এই মসজিদের এক পাশে মরহুম হযরত মাওলানা মোঃ শামছুল হুদা পাঁচবাগী (র) সাহেবের রওজা শরীফ রয়েছে ।


ভাষা শহীদ আঃ জববার (১৯১৯-১৯৫২): 

ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার পাঁচুয়া গ্রামে ১৩২৬ সনের ২৬ আশ্বিন (১৯১৯ খ্রিঃ) তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। স্থানীয় পাঠশালায় কিছুকাল অধ্যয়নের পর দারিদ্রের কারণে লেখাপড়া ছেড়ে তিনি পিতাকে কৃষিকাজে সাহায্য করেন। পনের বছর বয়সে অধিক রোজগারের আশায় একদিন সকলের অজান্তে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেন যোগে নারায়নগঞ্জ চলে আসেন। সেখানে জাহাজঘাটে তিনি এক ইংরেজ সাহেবের সান্নিধ্যে আসেন এবং তারই সহায়তায় আব্দুল জববার একটি চাকুরি নিয়ে বার্মায় চলে যান। বার্মায় অবস্থানকালে তিনি ইংরেজি ভাষা রপ্ত করেন। প্রায় বারো বছর পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৫২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত শাশুড়ির চিকিৎসার জন্য তিনি স্ত্রীসহ ঢাকায় আসেন। ২০ ফেব্রুয়ারী শাশুড়ীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান । ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে ব্যাপক জনসমাবেশ ঘটে। আবদুল জববারও সমাবেশে যোগ দেন। সে সময় ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।


র‌্যাংলার কিরণ চন্দ্র দেঃ

যে সমস্ত লোক গফরগাঁওতে জন্ম গ্রহণ করে গফরগাঁওকে ধন্য করেছেন তার মধ্যে র‌্যাংলার কিরণ চন্দ্র দে অন্যতম। তিনি লন্ডনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে অংক শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান দখল করে র‌্যাংলার উপাধিতে ভূষিত হন। তৎকালীন ভারতবর্ষে আর মাত্র দুইজন র‌্যাংলার ছিলেন। একজন ভাটপাড়া নিবাসী র‌্যাংলার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত। অন্যজন জয়সিদ্ধ গ্রামের স্বনাম ধন্য ব্যক্তি র‌্যাংলার আনন্দমোহন বসু। আসামের গোয়ালপাড়া জেলার জমিদার প্রমেশ বড়ুয়ার বোনকে বিয়ে করেছিলেন। অল্প কয়েক বছর পরে তাঁর স্ত্রী মারা যান, তিনিও অন্ধ হয়ে যান।


মরহুম গিয়াস উদ্দিন খান পাঠানঃ 

গফরগাঁও এর প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবি এবং তদানিন্তন পাকিস্তান কেন্দ্রিয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এই ক্ষণজন্মা সমাজকর্মী ১৯৬৪ সালে ঢাকায় ইহধাম ত্যাগ করেন।


মরহুম মাওলানা মহিউদ্দিন খানঃ 

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান (১৯ এপ্রিল ১৯৩৫ - ২৫ জুন ২০১৬) একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ইসলামী চিন্তাবিদ, বহু গ্রন্থ প্রণেতা ও মাসিক মদীনার সম্পাদক। তাকে বাংলা ভাষায় সীরাত সাহিত্যের জনক বলা হয়।[৪] মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ১৯৩৫ সালের ১৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার ছয়চির গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস ময়মনসিংহের ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার আনসার নগরে। পিতা বিশিষ্ট সাধক পুরুষ, প্রবীণ শিক্ষাবিদ মৌলভী হাকিম আনছার উদ্দিন খান, মাতা মোছাঃ রাবেয়া খাতুন। ২০১৬ সালের ২৫ জুন মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মাসিক মদীনার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মুফতী মুহাম্মাদ শফী উসমানীর রচিত মা’রেফুল কোরআনের বাংলা অনুবাদ করেছেন তিনি।

মাওলানা মুহিউদ্দীন খান বাংলা ভাষায় ইসলামি সাহিত্য রচনা, সম্পাদনা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি প্রায় ১০৫ খানা গ্রন্থ অনুবাদ ও রচনা করেছেন। তার সম্পাদিত ‘মাসিক মদীনা’র প্রশ্নোত্তর সঙ্কলন ‘সমকালীন জিজ্ঞাসার জবাব’ ২০ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।[৭]

আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ শফী (রহ.) বিরচিত ৮ খণ্ডের কালজয়ী তাফসির গ্রন্থ ‘মাআরিফুল কুরআন’ তিনি উর্দূ থেকে বাংলায় ভাষান্তর করেন। ইসলামিক ফাউণ্ডেশন থেকে এটি প্রকাশিত হয়। ১৪১৩ হিজরীতে মদীনাস্থ বাদশাহ ফাহদ কুরআন মুদ্রণ প্রকল্পের উদ্যোগে ‘মাআরিফুল কুরআন’ সংক্ষিপ্তাকারে ১ খণ্ডে বাংলায় ছেপে বাংলাভাষীর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। ইমাম গাজালীর ‘ইহয়াউ উলুমিদ্দিন’ ও মাওলানা আবুল কালাম আযাদের ‘ইনসানিয়ত মওত কে দরওয়াযে পর’ ( জীবন সায়াহ্নে মানবতার রূপ) গ্রন্থের স্বার্থক অনুবাদক মাওলানা মুহিউদ্দিন খান (রহ.)। তার প্রতিষ্ঠিত মদীনা পাবলিকেশন্স ১৯৫৭ সাল হতে এ পর্যন্ত কুরআন, হাদীস, সীরাতে রাসূল, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অভিধান বিষয়ক ৬০০ গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। তিনি ২০১৬ সালের ২৫ জুন মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অনূদিত কিছু বই হল:

  •      *  ইসলাম ও আমাদের জীবন

সিরাতুল মুস্তাকীম

মারেফুল কোরআন সংক্ষিপ্ত বাংলা অনুবাদ সহ

জান্নাতের অমীয়ধারা পবিত্র যমযম

তজরীদুল বোখারী

আযাদী আন্দোলন-১৮৫৭

খাসায়েসুল কুবরা: নবী (সা:) জীবনের অত্যাশ্চর্য ঘটনাবলী

সীরাতুন নবী

মরহুম মুন্সি হুরমত উল্লাহঃ 

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রখ্যাত নেতা।


কলিমদাদ খানঃ 

কবিতা সংকলন ‘ফেরারী বসন্ত’ খ্যাত কলিমদাদ খানকে সবাই চেনে। তাঁর লেখা ইংরেজী ব্যাকরণ বই সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

খোদাদাদ খানঃ 

প্রখ্যাত গণিত শাস্ত্রবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক এবং গণিত বিষয়ক বহু গ্রন্থের প্রণেতা।


মরহুম আলতাফ হোসেন গোলন্দাজঃ 

গফরগাঁও এর বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।


ফজলুর রহমান সুলতানঃ 

গফরগাঁও এর বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,প্রাক্তন জাতীয় সংসদ সদস্য, নাট্যকার ও সমবায়ী। ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের কয়েক দফা চেয়ারম্যান ছিলেন।

মরহুম ডাঃ এম, এ হাদীঃ 

বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক। বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বি.এম.এ) - এর নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন।


মোহাম্মদ আবুল হাশেমঃ 

পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।


ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলামঃ 

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএসসিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৭২ সালে আমেরিকার টেক্সাস ওম বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফিস কালচার ও ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্য বিভাগে অধ্যাপনায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জার্নাল অব একুয়াকালচার নামক পত্রিকার সম্পাদক।


মরহুম আসকর আলী সরকারঃ 

বিশিষ্ট সমাজকর্মী। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারলেও ১৯০৬ সালে কান্দি পাড়া গ্রামে নিজ নামে ইংরেজী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৯৩৫সালে ভারত সংবিধান রচিত হলে সে অনুসারে ইউনিয়ন বোর্ড স্থাপিত হয় এবং তিনি ১৯৪৫ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে অধিষ্ঠিত ছিলেন।